মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কালজ্ঞাপক শ্লোক

 কালজ্ঞাপক শ্লোক

--------------------------------------- 

১. “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন 

চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন।।”

মালাধর বসু – শ্রীকৃষ্ণ বিজয় 

১৩৯৫-১৪০২ শকাব্দ 

১৪৭৩-১৪৮০ খ্রীষ্টাব্দ 


২. “ঋতু শশী বেদ শশী শক পরিমিত 

সুলতান হুসেন শাহ নৃপতি তিলক।।”

বিজয়গুপ্ত – পদ্মাপুরান

১৪১৬ শকাব্দ 

১৪৯৪ খ্রীষ্টাব্দ 


৩. “সিন্ধু ইন্দু, বেদ মহী শক পরিমান 

নৃপতি হুসেন শাহ গৌড়ের সুলতান।।”

বিপ্রদাস পিপলাই – মনসা বিজয় 

১৪১৭ শকাব্দ 

১৪৯৫ খ্রীষ্টাব্দ 


‘৪. শকমুনি বেদশশী শক গনিতা” 

গঙ্গাদাস সেন – মনসা মঙ্গল

১৪৭৫ শকাব্দ 

১৫৫৩ খ্রীষ্টাব্দ 

‘জলধির বামেতে ভূবন ভূবন মাঝে দ্বার

শকে রচে দ্বিজ বংশী পুরান পদ্মার।।”

দ্বিজ বংশী দাস – পদ্মাপুরান

১৪৯৭ শকাব্দ 

১৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দ 


৫. “শূন্যরস বান শশী শিয়রে মনসা আসি 

আদেশিলা রচিতে মঙ্গল।।”

কেতকা দাস ক্ষেমানন্দ – মনসা মঙ্গল 

১৫৬০ শকাব্দ 

১৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দ 


৬. “গ্রহ বিধু ঋতু শশী শব্দের গণণা 

এই শকে এই কাব্য করিল রচনা।।”

কালিদাস – মনসামঙ্গল 

১৬১৯ শকাব্দ 

১৬৯৭ খ্রীষ্টাব্দ 


৭. “মহীপৃষ্ঠে শশী দিয়া বান বিষ্ণু সমর্পিয়া 

বুঝহ মনের পরিমান।।”

জীবন মৈত্র – পদ্মাপুরান

১১৫১ বঙ্গাব্দ 

১৭৪৪ খ্রীষ্টাব্দ 


৮. “অম্বুজের পৃষ্টে রস ঋতু রিপু দান 

এই শকে জীবন মৈত্র কবিগান।”

জীবন মৈত্র – পদ্মাপুরান 

১৬৬৬ শকাব্দ 

১৭৪৪ খ্রীষ্টাব্দ 


৯. “শক কর ঋতু বিধু শক নিয়োজিত 

মনসামঙ্গল রামজীবন চরিত।”

রামজীবন – মনসামঙ্গল 

১৬২৫ শকাব্দ। 

১৭০৩ খ্রীষ্টাব্দ 


১০. “মনসা মঙ্গল ভাষে  প্রথম বৈশাখ মাসে 

ষোলশ এক চল্লিশে।”

বানেশ্বর রায় – মনসামঙ্গল

১৬৪১ শকাব্দ 

১৭১৯ খ্রীষ্টাব্দ। 


১১. “হিন্দু বিন্দু বান ধাতা শক নিয়োজিত 

দ্বিজ মাধব গায় সারদা চরিত।”

দ্বিজ মাধব – সারদামঙ্গল বা সারদাচরিত। 

১৫০১ শকাব্দ 

১৫৭৯ খ্রীষ্টাব্দ 


১২. “সকে রস, রস বেদ শশাঙ্ক গণিতা 

কতদিনে দিলা গীত হরের বনিতা।”

মুকুন্দ চক্রবর্তী – অভয়ামঙ্গল 

১৪৯৯ শকাব্দ 

১৫৭৭ খ্রীষ্টাব্দ 


১৩. “ইন্দুবান ঋষিবান শক নিয়োজিত 

রাচলোক রামদেব সারদাচরিত।”

দ্বিজ রামদেব – সারদা চরিত

১৫৭৫ শকাব্দ 

১৫৭৭ খ্রীষ্টাব্দ


১৪. “গ্রহ ঋতুকাল শশী শক শভ জানি। 

মুক্তারাম সেন ভনে ভাবিয়া ভবানী।”

মুক্তারাম সেন – সারদা মঙ্গল 

১৬৬৯ শকাব্দ 

১৭৪৭ খ্রীষ্টাব্দ 


১৫. “গজ বসু ঋতু চন্দ্র শকে গ্রন্থ হয়

চন্ডীর আদেশে পায়্যা রামানন্দ কয়।”

রামানন্দ যতি – চন্ডী মঙ্গল

১৬৮৮ শকাব্দ

১৭৬৬ খ্রীষ্টাব্দ। 


১৬. “ধাতা বিন্দু সাগরেন্দু শকাদিত্য সনে। 

ভবানীশঙ্কর দাসে পঞ্চালিকা ভনে।।”

ভবানীশঙ্কর দাস – মঙ্গলচন্ডীর পাঞ্চালিকা। 

১৭০১ শকাব্দ 

১৭৭৯ খ্রীষ্টাব্দ। 


১৬. “ভুবন শকে বায়ুমাস শরের বাহন। 

খেলারাম করিলেন গ্রন্থ আরম্ভন।”

খেলারাম – গৌড়কাব্য

১৪৫৯ শকাব্দ 

১৫২৭ খ্রিষ্টাব্দ 


১৭. “তিন বান চারি যুগে বেদে যত রয়। 

শকে সনে জড় হইলে কত শক হয়।।

রামের উপরে রস তাহে রস দেহ। 

এই শকে গীত হৈল লেখা কইরা লেহ।।”

রূপরাম চক্রবর্তী – অনাদিমঙ্গল বা অনাদ্যমঙ্গল 

১৫৯০ খ্রীষ্টাব্দ 


১৮. “বেদ বসু তিন বান শকে সুপ্রচার। 

ভাদ্র আদ্য পক্ষ আট দিবস তাহার।।”

রামদাস আদক – অনাদিমঙ্গল 

১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দ 


১৯. “সীতারাম দাস গায় ধর্মপদতলে। 

এই পুথি হৈল হাজার চারি সনে।।”

সীতারাম দাস – ধর্মমঙ্গল 

১০০৪ শকাব্দ 

১৬৯৮ খ্রিষ্টাব্দ। 


২০. “সঙ্গীতে আরম্ভকাল নাহিক স্মরন। 

শুন সবে যে কালে হৈল সমাপন।। 

শক লিখে রামগুন রস শুধাকর। 

মার্গ কাব্য অংশে হংস ভার্গব বাসব।। 

সুলক্ষ্য বলক্ষ পক্ষ তৃতীয়াথ্য তিনি 

রাম সংখ্যা দিনে সাজা সঙ্গীতের পুঁথি।।”

ঘনরাম চক্রবর্তী – অনাদিমঙ্গল / শ্রীমধুভারতী। 

১৭১১ খ্রীষ্টাব্দ। 


২১. “দ্বিজ সহদেব গান পূর্ব তপ কালে

যাহারে করিলে দয়া একচল্লিশ সালে।”

চৈত্রের চতুর্থদিন পূর্নিমার তিথি। 

হেন দিনে যারে দয়া কৈলে যুগপতি।।”

সহদেব চক্রবর্তী – অনিল পুরান। 

১১৪১ বঙ্গাব্দ। 


২২. “বেদ লয়ে ঋষি রসে ব্রক্ষ নিরুপিলা। 

সেই শকে এই গীত ভরত রচিলা।।”

ভরতচন্দ্র রায় – অন্নদামঙ্গল 

১৬৭৪ শকাব্দ

১৭৫২ খ্রীষ্টাব্দ 


২৩. "বসুদ্বয় বানচন্দ্র শক নিরুপন "

প্রানরাম চক্রবর্তী – কালিকামঙ্গল 

১৫৮৮ শকাব্দ 

১৬৬৬ খ্রীষ্টাব্দ 


২৪. “কবি কৃষ্ণরাম বলে ষষ্ঠীর মঙ্গলা।

মহীশুন্য ঋতুচক্র শক সংবৎসর।।”

কৃষ্ণরাম দাস – ষষ্ঠীমঙ্গল 

১৬০১ শকাব্দ 

১৬৭৯ খ্রীষ্টাব্দ 


২৫. “রস অংক বায় শশী শাকের সময় 

তুলা মাসে সপ্ত বিংশতি গুরুবার হয়।”

দ্বিজ রতিদেব – মৃগলুব্ধ। 

১৫৯৬ শকাব্দ 

১৬৭৪ খ্রীষ্টাব্দ। 


২৬. “শকে শূন্য চন্দ্রকলা রাম করতলে 

রাম হল্য বিধিকান্ত পড়িল অনলে।

সেই কালে শিবের সঙ্গীত হইল সারা।।”

রামেশ্বর ভট্টাচার্য – শিব সংকীর্তন 

১৭১২ খ্রীষ্টাব্দ। 


২৭. “চন্দ্রবান পক্ষ ঋতু শব্দ সুনিশ্চয় 

বিরাট হৈল সাঙ্গ কাশীরাম কয়।”

কাশিরাম দাস – ভারত পাচালী

১৫২৬ শকাব্দ 

১৬০৪ খ্রীষ্টাব্দ।

সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

চিঠি - স্বামী বিবেকানন্দ

 চিঠি

স্বামী বিবেকানন্দ

(১৮৬৩-১৯০২)


১) আলোচ্য কবিতার উৎস লেখ। 

উঃ  আলোচ্য কবিতাটি ‘পত্রাবলী’ পত্র সংকলনের ৩৭১ সংখ্যক পত্র, যা ২৯শে জুলাই ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে শৈলশহর আলমোড়া থেকে বিবেকানন্দ লেখেন। 

২) ‘স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।’-স্টার্ডি কে?  

উঃ  মি.ই.টি স্টার্ডি ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের ইংরেজভক্ত, যিনি স্বামীজিকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারে সহায়তা করেন। 

৩) ‘কাল তাঁর উত্তর দিয়েছি।’-কাল বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? কে কার উত্তর দিয়েছে?  

উঃ  কাল বলতে ২৮ জুলাই, ১৮৯৭-এর কথা বলা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ স্টাডির প্রাপ্ত স্টাডির উত্তর দিয়েছেন। 

৪) ‘চিঠি’ রচনায় মিস মুলারের কাছ থেকে কী জানার কথা বলেছেন? 

উঃ  ‘চিঠি’ রচনায় বিবেকানন্দ মিস মুলারের কাছ থেকে ভগিনী নিবেদিতার কর্ম প্রণালী সম্বন্ধে জানার কথা বলেছেন। 

৫) ‘এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে......’-বক্তার দৃঢ় বিশ্বাসটি কী? 

উঃ  বক্তার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের কাছে ভগিনী নিবেদিতার এক বিরাট ভবিষ্যৎ আছে। 

৬) ‘একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন’ কী জন্য? 

উঃ  ভারতুবর্ষের জন্য, বিশেষত ভারতবর্ষেরনারী সমাজের কল্যানের জন্য নিবেদিতার মতো একজন সিংহীর প্রয়োজন। 

৭) ‘তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন।’-মিস নোব্‌লের মধ্যে কোন গুণাবলী লক্ষ করে স্বামীজি একথা বলেছেন? 

উঃ  মিস নোব্‌লের শিক্ষা শিক্ষা ঐকান্তিকতা, অসীম ভালোবাসা, দৃঢ়তা ইত্যাদি গুণাবলী লক্ষ করে স্বামীজি একথা বলেছেন।

৮)  ‘কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।’-কোন কাজে বিঘ্ন আছে? বিঘ্ন গুলি কী কী? 

উঃ  ভারতবর্ষের, বিশেষত ভারতের নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়নের কাজে প্রচুর বিঘ্ন আছে। ভারতবর্ষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব, আজতিভেদ, অস্পৃশ্যতাইত্যাদি দেশের উন্নতির কাজে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে। 

৯) তা তুমি ধারনা করতে পারনা।’-কী ধারণা করতে না পারার কথা বলে হয়েছে? 

উঃ  স্বামীজি মিস নোব্‌ল্‌কে ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব প্রভৃতি ব্যপকতা সম্পর্কে ধারনা করতে না পারার কথা বলেছেন। 

১০) মিস নোব্‌ল্‌ এদেশে এলে নিজেকে কীভাবে দেখতে পাবেন? 

উঃ  মিস্‌ নোবল্‌ এদেশে এলে নিজেকে অসংখ্য অর্ধ উলঙ্গ নরনারীতে পরিবেষ্ঠিত অবস্থায় দেখতে পাবেন। 

১১) ভারতবর্ষের জলবায়ু কেমন? 

উঃ  ভারতবর্ষের জলবায়ু অত্যন্ত গ্রীষ্মপ্রধান। এদেশের শীত ইউরোপের গ্রীষ্মের মতো আর দক্ষিণাঞ্চলে সর্বদাই আগুনের ফুলকা প্রবাহিত হয়। 

১২) ‘সর্বত্র যেমন, এখানেও তেমনি আমি কেউ নই......’-বক্তা কেন একথা বলেছেন? 

উঃ  দুর্দশাগ্রস্ত ভারতীয়দের সেবা ও উন্নতির বিশাল কর্মযজ্ঞে স্বামী বিবেকানন্দ নিজের ক্ষমতা সীমিত বলে মনে করায় একথা বলেছেন। 

১৩) ‘মর্দ কি বাত হাতি কা দাঁত’-প্রবাদটির অর্থ লেখ। 

উঃ  প্রবাদটির অর্থ হল প্রকৃত মানুষ কথা দিলে তা রাখার সর্বতোভাবে চেষ্টা করে, নড়চর হয়না। 

১৪) ‘আবার তোমাকে একটু সাবধান করা দরকার......’কী বিষয়ে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে সাবধান করা দরকার?

উঃ  ভারতে জনহিতকার কাজ করার ক্ষেত্রে মিস মুলার কিংবা অন্যের আশ্রয়ে না থেকে মিস নোবল্‌কে আত্মনির্ভর হতে হবে। 

১৫) ‘......এই ধারনা ছেলেবেলা থেকেউই তাঁর মাথায় ঢুকেছে......’-কার মাথায় কোণ ধারণা ঢুকেছে? 

উঃ  মিস মুয়লারের বদ্ধমূল ধারনা যে তিনি বদ্ধমূল ধারনা যে তিনি আজন্ম নেত্রী এবং টাকা দিয়ে পৃথিবিকে ওলটপালট করা যায়। 

১৬) মিস মুলারের চরিত্রের দুটি গুন ও দুটি দোষের পরিচয় দাও। 

উঃ  মিস মুলার ছিলেন সহৃদয় ও অমায়িক মহিলা এবং তাঁর মেজাজ রুক্ষ এবং তিনি অস্থির চিত্ত সম্পন্না। 

১৭) মিসেস সোভিয়ার কেমন মহিলা? 

উঃ  মিসেস সোভিয়ার অত্যন্ত ভাল এবং স্নেহময়ী মহিলা। স্বামীজী তাঁকে ‘নারীকুলের রত্নবিশেষ’ বলে উল্লেখ করেছেন। 

১৮) ‘তাঁর সবই সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়।’-কার সবই সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়? 

উঃ  যে ব্যক্তি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন অর্থাৎ স্বনির্ভর হতে পারেন, তাঁর সবই সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়। 

১৯) সেভিয়ার সম্পত্তি কেমন মানুষ? 

উঃ  সেভিয়ার  দম্পত্তি ভারতবর্ষের মানুষকে ঘৃনা করেননা এবং ভারতীয়দের উপর কর্তৃত্ব ফলাতে তারা এদেশে আসেননি। 

২০) ‘তুমি এলে তোমার সহকর্মী রূপে তাদের পেতে পারো......’-সেভিয়ার দম্পত্তিকে সহকর্মী রূপে পেলে কী সুবিধা হবে? 

উঃ  মিস নোব্‌লের সঙ্গে সেভিয়ার দম্পত্তি এদেশের উন্নয়নের মাজে যোগ দিলে এদেশের মানুষের বিশেষত নারী সমাজের উন্নতি তরান্বিত হবে। 

২১) ‘আমেরিকার সংবাদে জানলাম যে......’-বক্তা কী জানলেন? 

উঃ  বক্তা স্বামীজি জেনেছেন যে তাঁর দুই বন্ধু মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল এই শরৎকালেই ভারত ভ্রমণে আসছেন। 

২২) ‘তাঁরা এউরোপে হয়ে এদেশে আসছেন...’-কারা কখন, কোথাথেকে ইউরোপ হয়ে এদেশে আসছেন? 

উঃ  মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল শরৎকালে আমেরিকা থেকে ইউরোপ হয়ে এদেশে আসছেন।

২৩) ‘আমার এই পরামর্শ এই যে......’ –স্বামীজি মিস নোব্‌ল কে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন? 

উঃ  স্বামীজি পরামর্শ দিয়েছেন, মিস নোব্‌ল যেন মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে এদেশে আসেন। 

২৪) স্বামীজি মিস নোব্‌লকে ম্যাকলাউড ও মিস বুলের সঙ্গে এদেশে আসার পরামর্শ দিয়েছেন কেন? 

উঃ  ম্যাকলাউড ও বুলের সঙ্গে এলে মিস নোব্‌লের দীর্ঘপথের একঘেয়েমি দূর হতে পারে বলে স্বামীজি এই পরামর্শ দিয়েছেন। 

২৫) মি. স্টার্ডির লেখা চিঠি কেমন ছিল? 

উঃ  মি. স্টার্ডির লেখা চিঠিটি ছিল বড়ো শুষক, প্রাণহীন এবং হতাশাপূর্ণ। 

২৬) ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম কী? 

উঃ  ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্‌ল্‌। 

২৭) মিস মুলারের সম্পুর্ণ নাম কী? 

উঃ  মিস মুলারের সম্পুর্ণ নাম মিস হেনরিয়েটা মুলার। 

২৮) মিস ম্যকলাউডের পুরো নাম কী? 

উঃ  মিস ম্যাকলাউডের পুরো নাম মিস সেফাইন ম্যাকলাউড। 

২৯) মিসেস সেভিয়ারের শ্রেষ্ট কীর্তি কী? 

উঃ  মিসেস সেভিয়ারের শ্রেষ্ট কীর্তি হল স্বামীজির ইচ্ছায় বেদান্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে ‘মায়াবতী অদৈত আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করা। 

৩০) ‘অনন্ত ভালোবাসা জানরে।’-যাঁকে ভালোবাসা জানানো হয়েছে বক্তার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক কী? 

উঃ  যাঁকে ভালোবাসা জানানো হয়েছে তিনি বক্তা স্বামী ববেকানন্দের আদর্শ অ ভাবধারার একনিষ্ঠ অনুরাগী।

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

 সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় 


 (১).ভুমিকা:

       ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতিতে সুনীতিকুমার এক উজ্জ্বল প্রতিভূ ব্যক্তিত্ব৷তিনি মূলত ভাষাতত্ত্ববিদ, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত৷ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্বভ্রমণ ও ভারত সংস্কৃতির  পূর্ণ প্রতীক স্বরূপ রূপে বিরাজমান ৷ তাঁর অকল্পনীয় মেধা,সুদীর্ঘ অধ্যাবসায় এবং অমানুষিক পরিশ্রম তাকে উন্নতির শিখরে উঠতে সাহায্য করেছিলেন৷সমগ্র কর্মজীবনকে তিনি সৃষ্টিশীল কাজে ডুবিয়ে রাখতেন৷ এদেশীয় কৃষ্টি সমাজে যা মানব মণীষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত৷


(২).প্রারম্ভিক জীবন:

          জন্ম: ২৬ শে নভেম্বর,১৮৯০ সাল ,বুধবার,১১ই অগ্রহায়ণ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ,কার্তিক পূর্ণিমার দিন হাওড়ার শিবপুরে মামারবাড়িতে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন৷

পিতা—হরিদাস চট্টোপাধ্যায়

মাতা—কাত্যায়নী দেবী

দাম্পত্য সঙ্গী—কমলাদেবী

সন্তান—পাঁচ কন্যা:রুচি,রমা,নীলা,সতী ও শুচি; একপুত্র:সুমন

পিতামহ—কার্তিক চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

পিতামহী—যাদুমনিদেবী

পৈতৃক ভিটা—উত্তর কলকাতার ৬৪ নং সুকিয়াস স্ট্রিট(বর্তমানে কৈলাস বসু স্ট্রিট)৷


(৩).শিক্ষাজীবন:

            সুনীতিকুমার প্রথমে "ক্যালকাটা একাডেমি" তে(৬৩ আর্মহাস্ট স্ট্রিট,অধুনা রামমোহন সরণি) পড়লেও আর্থিক অবস্থার কারনে শেষ পর্যন্ত ভর্তি হলেন মোতিলাল শীল প্রতিষ্ঠিত ফ্রি-স্কুলে৷১৯০৭ সালে ঐ স্কুলে থেকেই তৎকালীন এন্ট্রাস বা প্রবেশিকা পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্হান অধিকার করেন৷তাঁর বয়স তখন সতেরো৷পরে ফার্স্ট অফ আর্টস পড়বার জন্য স্কটিশ চার্চেস কলেজে ভর্তি হন৷এফ.এ পাশ করলেন ১৯০৯ সালে,তারপর ইংরেজিতে অর্নাস নিয়ে বি.এ  ভর্তি হলেন প্রেসিডেন্সি কলেজে৷ওখান থেকেই ১৯১১ তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হলেন৷এম.এ ক্লাসে ভর্তি হলেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে৷ বিশেষ বিষয় প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইংরেজি(জর্মন ও ইংরেজি ভাষাতত্ত্ব সহ) যা গ্রুপ "বি" নামে পরিচিত৷এম.এ তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হয় ১৯১৩ সালে৷


(৪).কর্মজীবন:

           কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করার পর তিনি "বিদ্যাসাগর কলেজে" ইংরেজি অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন৷এরপর ১৯১৪-১৯১৯ সাল পর্যন্ত ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন৷১৯১৯ সালে তিনি ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় লন্ডনে যান এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধ্বনিবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেন৷১৯২১ সালে ঐ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডি.লিট পান৷তার অভিসর্ন্দভের বিষয় বস্তু ছিল "Indo-Aryan Linguistics:The Origin and Development of the Bengali Language" তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ড্যানিয়েল জোনস৷ লন্ডনে থাকাকালীন সময়ে তিনি ধ্বনিতত্ত্ব ও ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাতত্ত্ব ছাড়াও প্রাকৃতভাষা,ফার্সি ভাষা,প্রাচীন আইরিশ ভাষা,পুরনো ইংরেজি ও গথিক ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন৷সেখান থেকে প্যারিসে এসে ইন্দো-আর্য,স্লাভ্ ও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাতত্ত্ব,অস্ট্রো-এশীয় ভাষাতত্ত্ব,সগদীয়,প্রাচীন খোটানীয় ভাষা,গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষার ইতিহাসে অধ্যায়ন করেন৷১৯২২ সালে দেশে ফিরে আসার পর স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক ভারতীয় ভাষাতত্ত্বের 'খয়রা' অধ্যাপক হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় কর্মজীবন শুরু করেন৷এখানে দীর্ঘ ৩০ বছর কাজ করার পর ১৯৫২ সালে "এমেরিটাস" অধ্যাপক হিসেবে পুনঃনিযুক্ত হন৷


(৫).ব্যক্তিগত জীবন:

      ----------------------

            ১৭ই এপ্রিল,  ১৯১৪ সালে  বিষ্ণুশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও বনলতাদেবীর প্রথম সন্তান কমলাদেবীর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন৷

          

    (৬). রচনাসমগ্র:

          ----------------

*সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ গ্রন্থ:

------------------------------------

১.জাতি,সংস্কৃতি ও সাহিত্য-১৯৩৮

২.পশ্চিমের যাত্রী-১৯৩৮

৩.দ্বীপময় ভারত-১৯৪০

৪.বৈদেশিকী-১৯৪৩

৫.ভারত-সংস্কৃতি-১৯৪৪

৬.ইউরোপ-১৯৪৪(প্রথম খন্ড),১৯৪৫(দ্বিতীয় খন্ড)

৭.সাংস্কৃতিকী-১৯৬২(প্রথম খন্ড),১৯৬৫(দ্বিতীয় খন্ড),১৯৮২(তৃতীয় খন্ড)

৮.পথচলতি-১৯৬২(প্রথম খন্ড),১৯৬৪(দ্বিতীয় খন্ড)

৯.রবীন্দ্র-সংগমে দ্বীপময় ভারত ও শ্যামদেশ-১৯৬৫

১০.মনীষী স্মরণে-১৯৭২

১১.সংস্কৃতি শিল্প ইতিহাস-১৯৭৫

১২.জীবনকথা-১৯৭৯

১৩.বাঙ্গালীর সংস্কৃতি-১৯৯০


*ভাষা বিষয়ক প্রবন্ধ:

---------------------------

১.বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা-১৯২৯

২.ভারতের ভাষা ও ভাষা-সমস্যা-১৯৪৪

৩.বাঙ্গালা ভাষা প্রসঙ্গে-১৯৭৫


*ভাষা বিষয়ক বিদ্যালয়পাঠ্য বাংলা ব্যাকরণ রচনা:

--------------------------------------------------------------------

১.ছাত্রবোধ ব্যাকরণ-১৯৩৪,(শ্রীসুকুমার সেন সহযোগে)

২.বাঙ্গালা রচনাপ্রবেশ-১৯৩৪,(শ্রীসুকুমার সেন সহযোগে)

৩.ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ-১৯৩৯

৪.মধ্য বাঙ্গালা ব্যাকরণ-১৯৫১,(শ্রীসুকুমার সেন সহযোগে)

৫.প্রথম বাঙ্গালা ব্যাকরণ-১৯৫২,(শ্রীসুকুমার সেন সহযোগে)

৬.আশুবোধ ব্যাকরণ,(শ্রীসুকুমার সেন সহযোগে)

৭.সংক্ষিপ্ত ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ-১৯৪৫

৮.Primary English Grammer in Bengali-1950

৯.সরল ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ-১৯৫৬

১০.মধ্য বাঙ্গালা ব্যাকরণ-১৯৭৩(প্রথম খন্ড),১৯৭৪(দ্বিতীয় খন্ড),(অনিলকুমার কাঞ্জিলাল সহযোগে),নবীন সংস্করণ শ্রী গোপাল হালদার সহযোগে ১৯৮৯

১১.লঘু বাঙ্গালা ব্যাকরণ-প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড ১৯৭৫

১২.বাঙ্গালা রচনা প্রবেশিকা-(বসন্তরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় সহযোগে)

১৩.নিম্ন-মাধ্যমিক ব্যাকরণ ও রচনা-(শ্রীগোপাল হালদার সহযোগে)

১৪.লঘু বাঙ্গালা ব্যাকরণ ও রচনা-১৯৮৯(শ্রী কালিদাস ভট্টাচার্য ও শ্রী গোপাল হালদার সহযোগে)

১৫.মধ্য বাঙ্গালা রচনা-(শ্রী গোপাল হালদার সহযোগে)


*বিদ্যালয়পাঠ্য সাহিত্য-সংকলন:সংকলিত ও

 সম্পাদিত গ্রন্থ:

---------------------

১.সাহিত্য-পরিচয়,(প্রিয়রঞ্জন সেন সহযোগে)

২.পাঠমালা-১,২,৩ ভাগ,( প্রিয়রঞ্জন সেন সহযোগে)

৩.বাঙ্গালা পাঠমালা-১,২,৩,৪ ভাগ,(প্রিয়রঞ্জন সেন সহযোগে)

৪.সাহিত্য সংগ্রহ-১,২ ভাগ,১৯৫১

৫.বাঙ্গালা ভাষা ও বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা-সেন রায় এন্ড কোং৷


*সম্পাদিত গ্রন্থ:

-------------------

১.পাদ্রি মানোএল্ দা-আস্ সু ম্প্ সাম্ রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ-১৯৩১,(সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও প্রিয়রঞ্জন সেন কর্তৃক ভুমিকা সহ সম্পাদিত)

২.হরপ্রসাদ-সংবর্ধন লেখমালা-১৯৩১(প্রথম খন্ড),১৯৩২(দ্বিতীয় খন্ড),নরেন্দ্র লাহা ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

৩.চন্ডীদাস পদাবলী-১৯৩৪,(হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক সম্পাদিত)

৪.চরিত্র সংগ্রহ-১৯৪০

৫.বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী;তিন খন্ড,(সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়,ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাস কতৃক সম্পাদিত)

৬.হরপ্রসাদ-রচনাবলী-(অনিলকুমার কাঞ্জিলাল সহযোগে)

৭.রামেন্দ্র-রচনা সংগ্রহ-(অনিলকুমার কাঞ্জিলাল সহযোগে)


*ইংরেজি গ্রন্থ:

-------------------

১.The Origin and Development of the Bengali Language-1926

২.Bengali Self-Taught,by the natural method,with Phonetic pronunciation-1927

৩.A Bengali Phonetic Reader-1928

৪.Indo-Aryan and Hindi-1942

৫.Languages and the Linguistic Problem-1943

৬.The National Flag-1944

৭.Kirata-jana-kriti,The Indo-Mongoloids:their contribution to the History and culture of India-1951

৮.The Place of Assam in the History and Civilisation of India-1955

৯.Africanism:the African Personality,-1960

১০.Indianism and Indian synthesis-1962

১১.Languages and Literatures of Modern India-1963

১২.Dravidian-1965

১৩.Lectures on Rabindranath Tagore-1965

১৪.The People, Language and Culture of Orissa-1966

১৫.Religious and Cultural Integration of India:Atombapu Sarma of Manipur-1967

১৬.Phonetics in the study of Classical Languages in the East-1967

১৭.Guru Govind Singh-1967

১৮.Balts and Aryans:In their Indo-European Background-1968

১৯.India and Ethiopia,From the 7th Century B.C-1968

২০.World Literature and Tagore-1971

২১.Iranianism:Iranian,Culture and its Impact on the World from Achaemenian Times-1972

২২.Select Papers,Volume One-1972

২৩.Jayadeva-1973

২৪.India:A Ployglot Nation and its Linguistic Problems vis-a-vis National Integration-1973

২৫.Select Writings:Volume one-1978

২৬.The Ramayana:Its Character,genesis,history,expansion and exodus-1978

২৭.Select Paper,Volume Two-1979

২৮.The Various 'matters'in New or Modern Indian Literature and the Romances of Mediaeval Bengal-1982

২৯.On the Development of Middle Indo-Aryan-1983

৩০.Select Papers-1984


সম্পাদিত গ্রন্থ:ইংরেজি

১.Varna-Ratnakar of Jyotirisvara Kavisekharacharya-1940

২.A Middle Indo-Aryan Reader-1953


 *অন্যান্য:

১.Scientific and Technical Terms in Modern Indian Languages-1953

২.In Memorium:Kamala Devi-(1900-1964)-1965

৩.A Shortened  Arya Hindu Vedic Wedding Ritual-1976


(৭).ভ্রমণে রবীন্দ্র সান্নিধ্য:

       ----------------------------

           রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে তাঁর সঙ্গে সুনীতিকুমার ১৯২৭ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মালয়,যবদ্বীপ,সুমাত্রা,বালিদ্বীপ ও শ্যামদেশ ভ্রমণ করেন৷ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব সেই সময় থেকে সুনীতিকুমার কে ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট করেছিল৷তার ফলশ্রুতি প্রাবন্ধিকের বিভিন্ন গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে৷রবীন্দ্রনাথের বিশ্বব্যাপী সৌন্দর্য চিন্তা,আধ্যাত্মিক চিন্তা,হৃদয়ের অকৃত্রিম ভালোবাসা সুনীতিকুমার সারাজীবন উপলব্ধি করেছেন৷তিনি নিজেই বলতেন , আমাকে কেউ ভুলতে পারবেন না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাকে অমর করে রেখেছেন তাঁর সৃষ্টিকর্মে৷৷শেষের কবিতা'র অমিতের সুনীতিকুমার চাটুজ্জ্যের "শব্দতত্ত্ব" পড়ার মধ্যে দিয়ে৷কবি গুরু স্বয়ং "ভাষাচার্য" উপাধি দিয়ে স্নেহ ধন্য তরুণ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হার্দিক সুসম্পর্ক স্হাপন করেছেন৷


(৮). স্মরণীয় উপাধি:

      ----------------------

>রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক-"ভাষাচার্য"

>রবিঠাকুর কর্তৃক "লিপি বাচস্পতি কিংবা লিপি সার্বভৌম কিংবা লিপি চক্রবর্তী"৷

>হিন্দি সাহিত্য সম্মেলনে পাওয়া-"সাহিত্য বাচস্পতি"৷


(৯).জনপ্রিয়তা:

     -----------------

সুনীতিকুমার সকল ছাত্রছাত্রীকে " আপনি "বলে সম্বোধন করতেন,কাউকে প্রণাম করতে দিতেন না৷এ দুটিই প্রতীকী,অধ্যাপক ছাত্রদের মনে হীনম্মন্যতার ভাব প্রকাশ করুক তা তিনি চাইতেন না৷ নিজেকে মনে করতেন খানিকটা অগ্রসর ছাত্র মাত্র৷ ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি শিক্ষকের এরকম আধুনিক মনোভাবাপন্ন আচরণে তিনি রীতিমত সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন৷তাঁর ক্লাসে ধারাবাহিক সিলেবাস অনুযায়ী পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠদান বর্ণনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতো৷ভাষার প্রতি গভীরতা তাঁকে শিকড় সন্ধানী হতে বাধ্য করে ৷তাই ভারতীয় জাতি,সংস্কৃতিতে ভারতীয় নব্য আর্যভাষার বিশাল পরিধিকে গ্রন্থ আকারে রচনা করে শুধু ভারতবর্ষের মধ্যে জনপ্রিয়তাকে থেমে থাকেনি দেয়নি,বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন৷


(১০).সমালোচকদের মতামত:

        ---------------------------------

অধ্যাপক মৃণাল নাথ সুনীতিকুমার সম্পর্কে লেখেন—"কেউই বলবেন না আচার্য সুনীতিকুমার কোন নোতুন তত্ত্বের জনক৷আর নোতুন চিন্তার জনক নন বলেই ভাষাচর্চার ইতিহাসে তাঁর অবদানকে খাটো করে দেখা হীনম্মন্যতা আর বিকৃতমনস্কতার পরিচায়ক.....৷বাঙলা ভাষার ভাষিক চর্চা করে তিনি যা দিয়েছেন পৃথিবীর কোন ভাষাতেই এমনটি হয়নি৷......একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে প্রায় সমস্ত নব্য ভারতীয় আর্যভাষার ঐতিহাসিক ব্যাকরণের ভ্রুণ নিহিত রয়েছে সুনীতিকুমারের মহাগ্রন্থে৷"

            অধ্যাপক পবিত্র সরকার—"ঠিক 'ভাষাতাত্ত্বিক' বলতে যা বোঝায় সুনীতিকুমার তা ছিলেন না৷.....পৃথিবীতে ভাষাতত্ত্ব এর মধ্যে যে বারবার দিক পরিবর্তন করেছে তাতে সুনীতিকুমারের কোনো দান নেই৷কিন্তু এই নেতিবাচক কথা দিয়ে তাঁকে বুঝতে গেলে তাঁর কীর্তির প্রতি ভয়াবহ অবিচার করা হবে৷......তাঁর মতো করে একটি ভাষার এমন সর্বাঙ্গীণ ইতিহাস পৃথিবীর খুব কম পন্ডিত লিখতে পেরেছেন৷......ভারতীয় আর্যভাষার সুনির্দিষ্ট এলাকায় ঢুকতে হলে পৃথিবীর সমস্ত বাঘা পন্ডিতকেই তাঁর ছাত্র হয়ে আসতে হবে৷"

          জীবনীকার সুকুমারী ভট্টাচার্য বলেছেন—"ওঁর জ্ঞান মৃত বিদ্যার পিন্ড ছিল না,জীবনের হৃৎস্পন্দনে সজীব ছিল বলেই তা জ্ঞানার্থীকে বিকর্ষণ করত না,নবতর চর্চার দিকে আকর্ষণ করত,চিত্তবৃত্তিকে নতুন পর্যায়ে উন্মেষিত করতে পারত৷....অধ্যাপক সুনীতিকুমারের চূড়ান্ত সার্থকতা,তাঁর অধ্যাপনার চরম তাৎপর্য এখানেই৷"


(১১).পুরস্কার ও স্বীকৃতি:

         -------------------------

>১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দেওয়া হয় "ইউনিভার্সিটি জুবিলি "পুরস্কার৷"Comparative Philology with Special reference to the Bengali Dialect".

>১৯২১ সালে প্রথম "ডি.লিট" প্রাপ্তি৷লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়৷গবেষণা অভিসন্দর্ভ:Indo-Aryan Linguistics:"The Origin and Development of the Bengali Language.

>১৯৩৫ সালে রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গলের 'ফেলো' নির্বাচিত হন৷

>১৯৩৮ সালে প্যারিসের ভাষাবিজ্ঞান সংস্হা-(C.I.E.P.L) এর সদস্যপদে বৃত৷

>১৯৪৭ সালে আমেরিকান ওরিয়েন্টাল সোসাইটির সাম্মানিক সদস্য৷

>১৯৫১-৫২ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদের সভাপতি৷

>১৯৫৩-৫৫ সালে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি৷অল ইন্ডিয়া ওরিয়েন্টাল কনফারেন্সের সভাপতি৷

>১৯৫৫ সালে ভারত সরকার কর্তৃক "পদ্মভূষণ"৷

>১৯৫৫-৫৬ সালে ভারত সরকারের ভাষা কমিশনের সদস্য৷

>১৯৫৬-১৯৫৭ সালে সংস্কৃত কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন৷

>১৯৫৮ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ৷

>১৯৬১ সালে রোম বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক "ডি.লিট" উপাধিতে ভূষিত হন৷

>১৯৬১ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি৷

>১৯৬৩ সালে ভারত সরকার কর্তৃক "পদ্মবিভূষণ" সম্মান লাভ৷

>১৯৬৩ সালে ভারতী তামিল সংঘম সভাপতি হন৷

>১৯৬৪ সালে প্যারিসে এশিয়াটিক সোসাইটির সাম্মানিক সদস্য লাভ৷

>১৯৬৪ সালে ভারতের জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচিত হন৷

>১৯৬৪ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক "ডি.লিট" উপাধি পান৷

>১৯৬৬ সালে  বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক "দেশিকোত্তম" সম্মানে ভূষিত হন৷

>১৯৬৮ সালে  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক "ডি.লিট"

>১৯৬৮  সালে সাহিত্য একাডেমির সহকারী সভাপতি নির্বাচন হন৷

>১৯৬৮  সালে হায়দ্রাবাদে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক "ডি.লিট"

>১৯৬৯  সালে লন্ডনে আন্তর্জাতিক ধ্বনিবিজ্ঞান সংস্থার সভাপতি নির্বাচন হন৷

>১৯৬৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক "রবীন্দ্র ফলক" সম্মানে ভূষিত হন৷

>১৯৬৯ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক "ডি.লিট" পান৷

>১৯৬৯ সালে দ্বিতীয় বার এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি নির্বাচন হন৷

>১৯৭২  সালে বাংলাদেশের এশিয়াটিক সোসাইটির আমন্ত্রণ গ্রহণ৷


(১২).মৃত্যু:

        -------

২৯ শে মে,১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পরলোক গমন করেন৷


বহুমুখী প্রশ্নঃ

-----------------

১.সুনীতিকুমার প্রেমচাঁদ বৃত্তির জন্য যে গবেষণার  বিষয়টি তৈরি করেছিলেন তার নাম কি?

ক. An Essay Towards an Historical Grammar of the Bengali Language

খ.Bengali Self -Taught

গ.On the Development of Middle Indo-Aryan

ঘ.Jayadeva.

২."ভারতবর্ষে যাস্ক পাণিনির উদ্ভব,আজও সেখানে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় আছেন,সে -দেশের ছেলেমেয়েরা ভাষাতত্ত্ব শিখতে কেন যে বিদেশে আসে তা আমি বুঝতে পারি না৷" ভাষাচার্য সম্পর্কে কোন বিদেশি পন্ডিতের এমন উক্তি?

ক.উইলিয়াম জোনস

খ.চমস্কি

গ.হ্যারিস

ঘ.মিচেল৷

৩.স্বয়ং  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  কাকে  "লিপি বাচস্পতি কিংবা  লিপি সার্বভৌম কিংবা লিপি চক্রবর্তী " এই উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন?

ক.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

খ.হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

গ.সুনীতিকুমার চক্রবর্তী

ঘ.রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায়৷

৪.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সুনীতিকুমারের মহাগ্রন্থ O.D.B.L বইটি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে  অর্ন্তভুক্ত করেন?

ক.জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে

খ.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

গ.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

ঘ.খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে৷

৫.বাংলা ভাষার প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ ঐতিহাসিক ব্যাকরণ লিখেছিলেন কে?

ক.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

খ.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

গ.সুকুমার সেন

ঘ.রফিকুল ইসলাম৷

৬."উচ্চতা নানারকমের হয়,অট্টালিকা ও উচ্চ,মহীরূহ ও  উচ্চ৷একটি নিষ্প্রাণ,অন্যটি জীবনরসে সমৃদ্ধ৷সুনীতিবাবুর ছিল সেই বনস্পতির উচ্চতা৷" সুনীতিকুমার সম্পর্কে এরকম অসাধারণ সর্বাঙ্গীণ মূল্য নিরূপণ ছিল কার?

ক.গোপাল হালদার

খ.সুকুমার সেন

গ.অনিল কাঞ্জিলাল

ঘ.আশুতোষ মুখোপাধ্যায়৷

৭.ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম কোন বিশ্ববিদ্যালয় সুনীতিকুমারকে সাম্মানিক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করেন?

ক.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

খ.যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

গ.প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়

ঘ. দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়৷

৮.আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনীতিকুমারের বক্তৃতার বিষয় কি ছিল?

ক.ড্রাভিডিয়ান

খ.আফ্রিকান

গ.গ্রিস

ঘ.অসমীয়া৷

৯.কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাচার্য  "ইউনিভার্সিটি জুবিলি রিসার্চ "পুরস্কার যে লাভ করেছিলেন গবেষণার বিষয়টি কি ছিল?

ক.An Essay Towards an Historical Grammar of the Bengali Language

খ.On the Development of Middle Indo-Aryan

গ.Comparative Philology with special reference to the Bengali Dialects

ঘ.Dravidian.

১০."ভাষাচার্য সুনীতিকুমার ও বাংলা উপভাষা প্রসঙ্গ" প্রবন্ধটি কে লিখেছেন?

ক.বারিদবরণ ঘোষ

খ.সুধীর কুমার করণ

গ.তপোধরী ভট্টাচার্য

ঘ.সুকুমার সেন৷

১১.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "বাংলা ভাষা পরিচয়" বইটি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?

ক.অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে

খ.রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে

গ.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে

ঘ.কবি কালিদাস রায়কে৷

১২."অবেস্তা" চর্চা গভীরতর করার জন্য তিনি কোন অধ্যাপকের সাহায্য নিতেন?

ক.জ্যুল ব্লখ

খ.ড্যানিয়েল জোনস

গ.এল.ডি.বার্নেট

ঘ.তারাপোরেওয়ালা৷

১৩.লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের  গবেষণার বিষয় কি ছিল?

ক.A Bengali Phonetic Reader

খ.Indo-Aryan and Hindi

গ.Indo-Aryan Linguistics-The Origin and Development of the Bengali Language

ঘ.Bengali Self -Taught.

১৪.O.D.B.L গ্রন্থকে  "ভাষাবিজ্ঞানের মহাকাব্য" বলেছেন কে?

ক.প্রবাল দাশগুপ্ত

খ.উদয় নারায়ন সিং

গ.পবিত্র সরকার

ঘ.সুকুমার সেন৷

১৫.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে O.D.B.L প্রকাশকালে পৃষ্ঠাসংখ্যা কত ছিল?

ক.১১২৯

খ.১১২৭

গ.১০০৯

ঘ.১১৭৯.

১৬.১৯৩৫ সালে ইউরোপের ভ্রমনের বিবরন পাওয়া যায় সুনীতিকুমারের কোন গ্রন্থে?

ক.দ্বীপময় ভারত

খ.পশ্চিমের যাত্রী

গ.ভারত-সংস্কৃতি

ঘ.বৈদেশিকী৷

১৭."How Suniti Kumar Chatterji's Legacy has been treated" প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয় কোথা থেকে?

ক.Culcutta University

খ.Delhi University

গ.Indian Statistical Institute

ঘ.Jadavpur University.

১৮."পশ্চিমের যাত্রী" প্রবন্ধটি তিনি কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

খ.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ.হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘ.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ৷

১৯.১৯৭০ সালে বৃহত্তর আসাম ভেঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতে গারো,খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে একটি স্বতন্ত্র রাজ্য গড়ে উঠলে সুনীতিকুমার তার কি নামকরণ করেন?

ক.ত্রিপুরা

খ.মেঘালয়

গ.পশ্চিমবঙ্গ

ঘ.বিহার৷

২০.O.D.B.L এর প্রথম প্রকাশ সাল কত?

ক.১৯২১

খ.১৯২৩

গ.১৯২৬

ঘ.১৯২৮.

২১."সুনীতিকুমারের ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্বচর্চা" এই  প্রবন্ধটি কে লেখেন?

ক.অলিভা দাক্ষী

খ.তপোধরী ভট্টাচার্য

গ.নারায়ণ সান্যাল

ঘ.কৃষ্ণা ভট্টাচার্য৷

২২.সুনীতিকুমারের নামের আগে "ভাষাচার্য" উপাধিটি প্রয়োগ করেন কে?

ক.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ.আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

গ.হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘ.গোপাল হালদার৷

২৩."ভাষা প্রকাশ বাঙ্গলা ব্যাকরণ" গ্রন্থটি তিনি কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.সুকুমার সেন

খ.গোপাল হালদার

গ.অনিলকুমার কাঞ্জিলাল

ঘ.আশুতোষ মুখোপাধ্যায়৷

২৪"বাঙ্গালীর সংস্কৃতি" কত সালে প্রথম প্রকাশ পায়?

ক.১৯৯০

খ.১৯৯১

গ.১৮৮৮

ঘ.১৯৯৪.

২৫."বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ "থেকে হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক সম্পাদিত গ্রন্থের নাম কি?

ক.জয়দেব পদাবলী

খ.চন্ডীদাস পদাবলী

গ.চরিত্র সংগ্রহ

ঘ.জীবনকথা৷

২৬."জীবন-কথা" গ্রন্থটি ১৯৭৯ সালে জিজ্ঞাসা থেকে প্রকাশিত হয়৷গ্রন্থটির সংকলন ও সম্পাদন  করেছিলেন কে?

ক.অনিলকুমার কাঞ্জিলাল

খ.সুকুমার সেন

গ.গোপাল হালদার

ঘ.কবিশেখর কালিদাস রায়৷

২৭.রবীন্দ্রনাথকে "কালচার" এর জুতসই প্রতিশব্দ হিসেবে "সংস্কৃতি" কথাটি  সুনীতিকুমারই প্রথম কোন ভাষা থেকে জুগিয়েছিলেন?

ক.বাংলা ভাষা থেকে

খ.গুজরাটি ভাষা থেকে

গ.মারাঠি ভাষা থেকে

ঘ.তামিল ভাষা থেকে৷

২৮."মনীষী স্মরণে " গ্রন্থটি সুনীতি কুমার কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

খ.শিশিরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

গ.অনিলকুমার কাঞ্জিলাল

ঘ.অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

২৯."বানান সংস্কার ও সুনীতিকুমার" প্রবন্ধটির লেখক কে?

ক.অমিতাভ মুখোপাধ্যায়

খ.বারিদবরণ ঘোষ

গ.শুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায়

ঘ.সুভদ্রকুমার সেন৷

৩০."পথ-চলতি" (১৯৬২)প্রথম খন্ড,তোরোটি প্রবন্ধের সংকলন ৷গ্রন্থটি তিনি কাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন?

ক.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শিশির কুমার ভাদুড়ী

খ.সুকুমার সেন ও গোপাল হালদার

গ.নন্দলাল বসু ও রামকিঙ্কর বেইজ

ঘ.প্রমথ চৌধুরী ও ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী৷

৩১."Bengali Self -Taught",by the natural method,with Phonetic pronunciation. গ্রন্থটি প্রথম  কত সালে প্রকাশ হয়৷

ক.১৯২৫

খ.১৯২৬

গ.১৯২৭

ঘ.১৯৩০.

৩২.বিদ্যালয় পাঠ্য বাংলা ব্যাকরণ রচনা "আশুবোধ ব্যাকরণ" কার সঙ্গে মিলিত সহযোগে রচনা করেন?

ক.প্রিয়রঞ্জন সেন

খ.সুকুমার সেন

গ.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ঘ.গোপাল হালদার৷

৩৩."ভারত-সংস্কৃতি" গ্রন্থটি তিনি কাদের উৎসর্গ করেন?

ক.হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ.মেজর প্রভাতকুমার বর্ধন ও হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

গ.রমেশচন্দ্র মজুমদার ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘ.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও বিজয় মজুমদার৷

৩৪.সুনীতিকুমার শুধু ভাষাতত্ত্বের সুবাদে নয়, মানবসংস্কৃতির অন্বেষায় অনুপ্রানিত হয়ে ১৯২৭ সালে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ভ্রমণে প্রাচ্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করে যে দুটি গ্রন্থ লিখলেন সেগুলোর নাম কি কি?

ক.বৈদেশিকী  /ভারত সংস্কৃতি

খ.দ্বীপময় ভারত/রবীন্দ্র-সংগমে দ্বীপময় ভারত ও শ্যামদেশ

গ.জাতি,সাহিত্য, সংস্কৃতি/পথ চলতি

ঘ.পথচলতি/সাংস্কৃতিকী৷

৩৫.ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাতত্ত্বে সুনীতিকুমারের পাঠ সুযোগ নেওয়ার সৌভাগ্য হয় কোন অধ্যাপকের কাছে?

ক.ডেনিসন রস

খ.এফ.ডবলিউ টমাস

গ.চেম্বাস

ঘ.রবিন ফ্লাওয়ার৷

৩৬."সংস্কৃতি শিল্প ইতিহাস"গ্রন্থটি তিনি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎসর্গ করেন?

ক.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

খ.বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

গ.দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

ঘ.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷

৩৭.তিনি প্রাচীন ইংরেজি ও গথিক পড়েন কোন পন্ডিতদের কাছে?

ক.বার্নেট ও টমাস

খ.জ্যুল ব্লখ ও আঁতোয়া মেইয়ে

গ.চেম্বার্স ও গ্র্যটান

ঘ.ড্যানিয়েল জোন্স ও হ্যারিস৷

৩৮."সাংস্কৃতিকী" প্রথম খন্ড তিনি কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.ড্যানিয়েল জোনস

খ.রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

গ.অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘ.শিশির কুমার ভাদুড়ী৷

৩৯."Kirata-jana-kriti,The Indo-Mongoloids:their contribution of History and culture of India" গ্রন্থটি প্রথম কত সালে প্রকাশ পায়?

ক.১৯৪৯

খ.১৯৫১

গ.১৯৬১

ঘ.১৯৭২.

৪০.শিক্ষাবিদ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ কে তিনি দুটি গ্রন্থ উৎসর্গ করেন ৷সেই দুটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করুন৷

ক.The National Flag/Africanism:the African personality

খ.লঘু বাংলা ব্যাকরণ/মধ্য বাঙ্গালা ব্যাকরণ

গ. A Bengali phonetic Reader/Bengali Self-Taught

ঘ.ভারত সংস্কৃতি/পথচলতি৷

৪১.বাল্টিক সভ্যতা ও ভারতীয় আর্য সভ্যতার  আদিমতম পশ্চাৎপট যে ইন্দো-ইউরোপীয় সংস্কৃতি,সেইখানে এ দুইয়ের ভাষাগত,চিন্তাগত,মিল ও সংযোগ তার স্বরূপ উন্মোচন ও বিবর্তন অনুধাবন করেছেন তার কোন গ্রন্থে?

ক.Balts and Indo-European

খ.Indo-European and Balts Literature

গ.World Literature:Balts

ঘ.Balts and Aryans:In their Indo-European Background.

৪২."বাঙ্গালা ভাষা প্রসঙ্গে" গ্রন্থটি কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.সুকুমার সেন

খ.অনিলকুমার কাঞ্জিলাল

গ.অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘ.নন্দলাল বসু৷

৪৩.ভাষাচার্য রোম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্মানিক ডি.লিট উপাধি গ্রহনের পরে কৃতজ্ঞতা স্থাপন করেন কোন ভাষায়?

ক.গ্রিক ভাষায়

খ.বাংলা ভাষায়

গ.ইংরেজি ভাষায়

ঘ.ল্যাটিন ভাষায়৷

৪৪.১৯৩৮ সালে ইউরোপ ভ্রমণের বিবরণ পাওয়া যায় সুনীতিকুমারের কোন গ্রন্থে?

ক.পশ্চিমের যাত্রী

খ.ইউরোপ

গ.বৈদেশিকী

ঘ.ভারত সংস্কৃতি৷

৪৫."লিপি বাচস্পতি সুনীতিকুমার" প্রবন্ধটি কার লেখা?

ক.ছন্দা রায়

খ.ভক্তিপ্রসাদ মল্লিক

গ.অলোক রায়

ঘ.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

৪৬."ইউরোপ "প্রবন্ধটির উভয় খন্ড সুনীতিকুমার কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ.প্রমথ চৌধুরী

গ.নন্দলাল বসু

ঘ.অনিলকুমার কাঞ্জিলাল৷

৪৭.১৯৭১ সালে সুনীতিকুমারের বহু সাধের ও সাধনার একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় তার নাম কি?

ক.ইন্ডিয়া এন্ড ইথিয়োপিয়া

খ.ইরানিয়ানিজম

গ.ওয়র্লড লিটারেচার এন্ড টেগোর

ঘ.জয়দেব৷

৪৮."বৈদেশিকী" গ্রন্থটি তিনি কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ.রমেশচন্দ্র মজুমদার

গ.বিজয় মজুমদার

ঘ.সুকুমার সেন৷

৪৯."জাতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য" প্রথম কত সালে প্রকাশ পায়?

ক.১৯৩৬

খ.১৯৩৮

গ.১৯৪১

ঘ.১৯৬০.

৫০."ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা" গ্রন্থটি সুনীতিকুমার কাকে উৎসর্গ করেন?

ক.সুধীরকুমার রায়চৌধুরী

খ.প্রমথ চৌধুরী

গ.গোপাল হালদার

ঘ.গিরিন্দ্রনাথ সেন৷

৫১.বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে নরেন্দ্রনাথ লাহা ও সুনীতিকুমার কর্তৃক সম্পাদিত গ্রন্থের নাম কি?

ক.হরপ্রসাদ-সংবর্ধন লেখমালা

খ.চরিত্র সংগ্রহ

গ.বাঙ্গালা পাঠমালা

ঘ.চন্ডীদাস পদাবলী৷

৫২.গোপাল হালদারের নামে উৎসর্গ করা সুনীতিকুমারের ইংরেজি গ্রন্থের নাম কি?

ক.Dravidian

খ.Guru Govind singh

গ.India and Ethiopia

ঘ.Select Writing : Volume one.

৫৩.সুনীতিকুমারের বিদ্যালয়পাঠ্য সাহিত্য-সংকলন:সংবলিত ও সম্পাদিত গ্রন্থটি নির্বাচন করুন৷

ক.চন্ডীদাস পদাবলী

খ.বাঙ্গালা রচনাপ্রবেশ

গ.পাঠমালা

ঘ.চরিত্র-সংগ্রহ৷

৫৪.কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও প্রিয়রঞ্জন সেন কর্তৃক ভূমিকা-সহ সম্পাদিত ও অনূদিত গ্রন্থের নাম কি?

ক.চন্ডীদাস পদাবলী

খ.সাহিত্য-পরিচয়

গ.পাদ্রি মানোএল্ দা-আস্ সুম্প্ সাম্  রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ

ঘ.ছাত্রবোধ ব্যাকরণ৷

৫৫. ধ্বনির উচ্চারণ বিষয়ক গ্রন্থ  " Bengali Self-Taught"  তিনি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?

ক.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ.অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ.গোপাল হালদার

ঘ.নরেন্দ্রনাথ লাহা৷

৫৬."বিশ্বচারিণী কমলা:সুনীতিকুমারের স্মরণালেখ্য" প্রবন্ধটি কার লেখা?

ক.প্রবাল দাশগুপ্ত

খ.পবিত্র সরকার

গ.গোপাল হালদার

ঘ.বারিদবরণ ঘোষ৷

৫৭.সুনীতিকুমারের মতে বাংলায় "বাদুড়" শব্দটি এসেছে কাদের কাছ থেকে?

ক.মোঙ্গল জাতীয়দের কাছ থেকে 

খ.পারসিকদের কাছ থেকে 

গ.আইরিশদের কাছ থেকে

ঘ.নিগ্রোবটুদের  কাছ থেকে৷

৫৮.সুনীতিকুমারের বক্তৃতামালা পরে গুজরাট ভারনাকুলার সোসাইটি থেকে পুস্তক আকারে প্রকাশ পাওয়া গ্রন্থের  নাম কি?

ক.lndo-Aryan and Hindi

খ.Languages and Linguistic Problems

গ.A Bengali Phonetic Reader

ঘ.চরিত্র-সংগ্রহ৷

৫৯.সুনীতিকুমারের ধ্বনিমূল বিচারের আলোচনায় রয়েছে জোনস-বর্ণিত কি ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি?

ক.মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি

খ.কার্যকরী দৃষ্টিভঙ্গি

গ.স্বাতন্ত্র্যসূচক দৃষ্টিভঙ্গি

ঘ.ভৌত দৃষ্টিভঙ্গি৷

৬০.সুনীতিকুমারই প্রথম বাংলা অবিভাজ্য ধ্বনি নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁর কোন গ্রন্থে?

ক.বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা

খ.A Bengali Phonetic Reader

গ.Indo-Aryan and Hindi

ঘ.মধ্য বাঙ্গলা রচনা৷

৬১.O.D.B.L কে  বাংলা ভাষার বেদস্বরূপ বলে আখ্যা  দিয়েছেন কে?

ক.সুধীরকুমার করণ

খ.অলিভা দাক্ষী

গ.বারিদবরণ ঘোষ

ঘ.শিশির ভট্টাচার্য্য৷

৬২."বাঙ্গালা ভাষা প্রসঙ্গে" গ্রন্থটি কয়টি প্রবন্ধের সংকলন?

ক.২৪টি

খ.২৫টি

গ.২১টি

ঘ.২০টি৷

৬৩.কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত সুনীতিকুমারের প্রথম বাংলা বইয়ের নাম কি?

ক.বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভুমিকা

খ.ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ

গ.সরল ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ

ঘ.লঘু বাঙ্গালা ব্যাকরণ৷

৬৪."প্যারিসের জীবন" সংযোজিত প্রবন্ধটি সুনীতিকুমারে কোন গ্রন্থে অর্ন্তগত?

ক.দ্বীপময় ভারত

খ.পথচলতি

গ.ভারত -সংস্কৃতি

ঘ.জীবনকথা৷

৬৫. O.D.B.L গ্রন্থটিতে মুখবন্ধ লিখেছিলেন কে?

ক.জর্জ গ্রিয়ারসন

খ.ড্যানিয়েল জোনস

গ.চেম্বার্স

ঘ.জ্যুল ব্লখ৷

৬৬.এলাহবাদ হিন্দি সাহিত্য সম্মেলন থেকে সুনীতিকুমারকে কি উপাধি দেওয়া হয়েছিল?

ক.বিদ্যা বাচস্পতি

খ.ভাষা বাচস্পতি

গ.সাহিত্য বাচস্পতি

ঘ.বনস্পতি মহীরুহ৷

৬৭.সুনীতিকুমার কাকে "বাকপতি বিশ্বমনা" বলে সম্বোধন করেছিলেন?

ক.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

খ.ড্যানিয়েল জোনস

গ.অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

৬৮.ড্যানিয়েল জোনসের  পদ্ধতিতে ধ্বনিমূল নির্ণয়ের চেষ্টা করেন  তাঁর কোন গ্রন্থে?

ক.Bengali Self-Taught

খ.A Bengali Phonetic Reader

গ.বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভুমিকা

ঘ.ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ৷

৬৯.নৃতত্ত্ব,পুরাতত্ত্ব,সমাজভাষাবিজ্ঞান  সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করে  ওড়িয়া ভাষার ক্রম বিস্তারিত আলোচনা করেছেন কোন গ্রন্থে?

ক.Orissa Linguestics

খ.Religious and Culture  of Orissa

গ.Language and Literature 

ঘ.The People,Language and Culture of Orissa

৭০.O.D.B.L তো রবীন্দ্রনাথ শুধু নিজে পড়েননি,অন্যকেও পড়িয়েছেন৷তিনি অন্য কাকে  পড়িয়েছেন?

ক.শেষের কবিতার অমিতকে 

খ.চতুরঙ্গের শ্রীবিলাসকে

গ.অচলায়তনের গুরুকে

ঘ.শেষের কবিতার লাবন্যকে৷

৭১.রবীন্দ্রনাথের দ্বীপময়-ভারতে ভ্রমণকে সুনীতিকুমার কি অভিধা দিয়েছেন?

ক.পথ বিজয়

খ.মহাগুরু বিজয়

গ.ভারত সংস্কৃতি বিজয়

ঘ.দ্বীপ বিজয়৷

৭২. A Bengali Phonetic Reader বইয়ে প্রকাশিত সুরতরঙ্গ বা intonation অংশটি পড়ে তার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন কে?

ক.ড্যানিয়েল জোনস

খ.জ্যুল ব্লখ

গ. রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

৭৩.এককথায় সুনীতিকুমার ছিলেন জীবন্ত 'এনসাইক্লোপিডিস্ট'৷সুচিন্তিত মতামতটি কার৷

ক.উদয় নারায়ণ সিংহ

খ.প্রবাল দাশগুপ্ত

গ.অলিভা দাক্ষী

ঘ.শুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায়৷

৭৪."উনিশ শতকের ঐতিহ্য এবং সুনীতিকুমার" প্রবন্ধটির লেখক কে?

ক.পবিত্র সরকার

খ.শুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায়

গ.মৃণাল নাথ

ঘ.পরেশচন্দ্র মজুমদার৷

৭৫.The Ramayana:Its Character,genesis,history,expansion and exodus  গ্রন্থটিতে মুখবন্ধ করেছিলেন কে?

ক.অনিলকুমার কাঞ্জিলাল

খ.সুকুমার সেন

গ.মহাদেব প্রসাদ সাহা

ঘ.গোপাল হালদার৷

৭৬.সুনীতিকুমার ,বজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত গ্রন্থের নাম কি?

ক.চন্ডীদাস পদাবলী

খ.পাঠমালা 

গ.সাহিত্য সংগ্রহ

ঘ.বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী৷

৭৭. ১৯৭৬ এ বন্ধু অমিয় চক্রবর্তীর কন্যা সেমন্তীর বিবাহ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত হিন্দু বিবাহপদ্ধতির সঙ্গে উপনয়ণ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি হিসেবে কি গ্রন্থ লেখেন?

ক.A Shortened Arya Hindu Vedic Wedding Ritual

খ.Semanti Vedic Wedding Ritual

গ.Vedic Wedding

ঘ.In Memorium:Semanti Wedding.

৭৮."রামেন্দ্র-রচনাসংগ্রহ" গ্রন্থটি সুনীতিকুমার কার সহযোগে সম্পাদন করেন?

ক.সজনীকান্ত দাস

খ.অনিলকুমার কাঞ্জিলাল

গ.নরেন্দ্র লাহা

ঘ.ভবানী পাঠক৷

৭৯. ১৯২১ সালে বুলেটিন অভ্  দ্য স্কুল অভ্ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের দ্বিতীয় ভল্যুমের পার্ট—১(পৃ:১-২৫)সংখ্যায় Bengali Phonetics প্রকাশিত হয়৷পুস্তিকাকারে যখন এই রচনা প্রকাশ হয়,তখন এটি কি নামে প্রকাশ  হয়?

ক.The Sound of Modern Bengali

খ.A Bengali Phonetic Reader

গ.The Phoneme

ঘ.A Brief Sketch of Bengali Phonetics.

৮০."হরপ্রসাদ রচনাবলী "গ্রন্থটি কে কে মিলেমিশে সম্পাদিত করেছেন?

ক.ভবানী পাঠক/সজনীকান্ত দাস

খ.নরেন্দ্র লাহা/গোপাল হালদার

গ.সুনীতিকুমার/অনিলকুমার কাঞ্জিলাল

ঘ.মৃণাল নাথ/পবিত্র সরকার৷


রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪

নগরলক্ষী

 

নগরলক্ষ্মী (nagarlakshmi)

 

           দুর্ভিক্ষ শ্রাবস্তীপুরে যবে

           জাগিয়া উঠিল হাহারবে,

বুদ্ধ নিজভক্তগণে                  শুধালেন জনে জনে,

         "ক্ষুধিতেরে অন্নদানসেবা

         তোমরা লইবে বল কেবা?'

 

         শুনি তাহা রত্নাকর শেঠ

         করিয়া রহিল মাথা হেঁট।

কহিল সে কর জুড়ি,              "ক্ষুধার্ত বিশাল পুরী,

         এর ক্ষুধা মিটাইব আমি

         এমন ক্ষমতা নাই স্বামী!'

 

         কহিল সামন্ত জয়সেন,

         "যে আদেশ প্রভু করিছেন

তাহা লইতাম শিরে               যদি মোর বুক চিরে

         রক্ত দিলে হ'ত কোনো কাজ--

         মোর ঘরে অন্ন কোথা আজ!'

 

         নিশ্বাসিয়া কহে ধর্মপাল,

         "কী কব, এমন দগ্ধ ভাল,

আমার সোনার খেত              শুষিছে অজন্মা-প্রেত,

         রাজকর জোগানো কঠিন--

         হয়েছে অক্ষম দীনহীন।'

 

         রহে সবে মুখে মুখে চাহি,

         কাহারো উত্তর কিছু নাহি।

নির্বাক্‌ সে সভাঘরে               ব্যথিত নগরী-'পরে

         বুদ্ধের করুণ আঁখি দুটি

         সন্ধ্যাতারাসম রহে ফুটি।

 

         তখন উঠিল ধীরে ধীরে

         রক্তভাল রাজনম্রশিরে

অনাথপিণ্ডদসুতা                   বেদনায় অশ্রুপ্লুতা,

         বুদ্ধের চরণরেণু লয়ে

         মধু কণ্ঠে কহিল বিনয়ে--

 

         "ভিক্ষুণীর অধম সুপ্রিয়া

         তব আজ্ঞা লইল বহিয়া।

কাঁদে যারা খাদ্যহারা              আমার সন্তান তারা,

         নগরীরে অন্ন বিলাবার

         আমি আজি লইলাম ভার।'

 

         বিস্ময় মানিল সবে শুনি--

         "ভিক্ষুকন্যা তুমি যে ভিক্ষুণী!

কোন্‌ অহংকারে মাতি   লইলে মস্তকে পাতি

         এ-হেন কঠিন গুরু কাজ!

         কী আছে তোমার কহো আজ।'

 

         কহিল সে নমি সবা-কাছে,

         "শুধু এই ভিক্ষাপাত্র আছে।

আমি দীনহীন মেয়ে               অক্ষম সবার চেয়ে,

         তাই তোমাদের পাব দয়া--

         প্রভু-আজ্ঞা হইবে বিজয়া।

 

         "আমার ভাণ্ডার আছে ভরে      

         তোমা-সবাকার ঘরে ঘরে।

তোমরা চাহিলে সবে              এ পাত্র অক্ষয় হবে।

         ভিক্ষা-অন্নে বাঁচাব বসুধা--

         মিটাইব দুর্ভিক্ষের ক্ষুধা।'

সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

cricket

 

রবির ফাইনাল নয়, বুধের সেমিফাইনালই কি হতে চলেছে বিশ্বকাপে রোহিতের ভারতের কঠিনতম ম্যাচ?

চলতি বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন পর্যায়ের সব ক’টি ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। কোনও দলই তাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু সেমিফাইনালেই অপেক্ষা করছে ভারতের কঠিনতম ম্যাচ। 

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তিন তিনটি গ্রহাণু!

 একটি নয়, দু’টি নয়, তিন তিনটি গ্রহাণু মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। বৃহস্পতিবারই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর ‘গা ঘেঁষে’ বেরিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। আগেই গ্রহাণুগুলির আকার-আকৃতি জানিয়ে পৃথিবীবাসীকে সতর্ক করেছিল নাসা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণু তিনটি উচ্চ গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। যা বৃহস্পতিবার পৃথিবীকে পাশ কাটিয়ে পেরিয়ে যাবে।মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রথম গ্রহাণুটির নাম জেটি২। ১১ মে এই গ্রহাণুটি প্রথম দৃষ্টিগোচরে আসে। প্রায় ১৬ মিটারের এই মহাকাশ শিলা ৫৮২ দিনে সৌরপথ সম্পূর্ণ ভাবে অতিক্রম করে৷ বৃহস্পতিবার গ্রহাণুটি ২৬.৫ লক্ষ কিমি দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ ১৮,০০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে।

দ্বিতীয় গ্রহাণুটির নাম জেসি৩। গত ১৩ মে মহাকাশে এই গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। গ্রহাণুটির আনুমানিক আকার ১৫ থেকে ৩৪ মিটার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৪৪৬ দিন। এটিও বৃহস্পতিবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছবে এবং ৪৯.৩ লক্ষ কিমি দূর দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। পৃথিবীকে অতিক্রম করে যাওয়ার সময় এই গ্রহাণুর গতিবেগ থাকবে ৪৬,৮০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তৃতীয় গ্রহাণুটির নাম দিয়েছেন জেএস১। ১২ মে আবিষ্কৃত এই গ্রহাণু আনুমানিক আকার প্রায় ২১ মিটার। সূর্যের সম্পূর্ণ কক্ষপথে ঘুরতে সময় নেয় ৯০৮ দিন। এটিও বৃহস্পতিবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব থাকবে ২১.৭ লক্ষ কিমি। পৃথিবীকে অতিক্রম করার সময় এর গতিবেগ হবে ঘণ্টা প্রতি ২৮,৮০০ কিমি।পৃথিবীর কাছে দিয়ে অতিক্রম করা গ্রহাণু তিনটি পৃথিবীর জন্য কোনও বিপদ ডেকে আনবে না বলেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

টাকা দিয়েই বিদেশি বাণিজ্য

 কোনও বিদেশি মুদ্রার পরিবর্তে টাকার মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক লেনদেন করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কৃষ্ণরাও করাড রাজ্যসভায় জানালেন যে, ১৮টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে টাকার মাধ্যমে পাওনা মেটানোর ব্যবস্থা তৈরি করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।



টাকার অঙ্কে বৈদেশিক বাণিজ্যের পাওনা মেটানোর কথা প্রথম উঠেছিল যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল। আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুইফ্ট ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ— যুদ্ধের সূচনাতেই সাতটি রুশ ব্যাঙ্ককে এই ব্যবস্থা থেকে ছেঁটে ফেলায় রাশিয়ার সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চালিয়ে নিয়ে যেতে ভিন্নতর পথের প্রয়োজন পড়ল। বিশেষত রাশিয়ার দীর্ঘ দিনের বাণিজ্যসঙ্গী ভারতের, কারণ সামরিক সরঞ্জাম ছাড়াও পেট্রোলিয়াম ও সার আমদানির ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার উপরে খুবই নির্ভরশীল। কাজেই ভারত সোভিয়েট আমলের টাকা-রুবল বাণিজ্যচুক্তির পথে হাঁটল। ২০২২-২৩ সালে এই লেনদেনের উপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়ল, কারণ ভারত সস্তা রুশ পেট্রোলিয়াম আমদানির পরিমাণ বাড়াল— ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ১৮ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকেই।

২০২২ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতীয় টাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পাদন সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল। শুধু বাণিজ্যিক পাওনাগন্ডা মেটানোর কাজেই নয়, এই বিজ্ঞপ্তিতে টাকার অঙ্কে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের কথা বলা হল। যে কোনও দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক পাওনাগন্ডা মেটানোর জন্য ভারতে অথরাইজ়ড ডিলার (এডি) ব্যাঙ্ককে অধিকার দেওয়া হল, বাণিজ্যসঙ্গী দেশের ব্যাঙ্কের স্পেশাল রুপি ভস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খোলার। এই ব্যবস্থার ফলে, ভারতীয় আমদানিকারকরা আমদানির মূল্য এই অ্যাকাউন্টে ভারতীয় টাকার অঙ্কে জমা করতে পারবেন, এবং ভারতীয় রফতানিকারকরা বাণিজ্যসঙ্গী দেশের ব্যাঙ্কে এসআরভিএ অ্যাকাউন্টে টাকার অঙ্কেই পাওনা বুঝে নেবেন। ২০২৩ সালে ঘোষিত বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে এই ব্যবস্থাকে সমর্থন করে জানানো হয়েছে যে, টাকার অঙ্কে রফতানির মূল্য পেলেও রফতানিকারকরা সংশ্লিষ্ট প্রণোদনাগুলি পাবেন।

লক্ষণীয় যে, অ্যাকাউন্টে থাকা উদ্বৃত্ত টাকা ভারতে মূলধনি খাতে এবং চালু খাতার লেনদেনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে লগ্নি, সরকারি ট্রেজ়ারি বিল এবং সরকারি সিকিয়োরিটিজ়-এ লগ্নিও। অর্থাৎ, কোনও বিদেশির যদি ভারতে ভারতীয় টাকায় সম্পদ থাকে, তবে তিনি সেই টাকা সরাসরি ভারতীয় সম্পদে লগ্নির কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

ভারতীয় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টাকার অঙ্কে বৈদেশিক লেনদেনের কাজে আগ্রহী হওয়ার পর ১৮ দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ভারতে টাকার অঙ্কে এসআরভিএ খোলার অনুমতি পেয়েছে। ৬০টি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভারতীয় ও বৈদেশিক এডি ব্যাঙ্ক বৎসোয়ানা, ফিজি, জার্মানি, গায়ানা, ইজ়রায়েল, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মরিশাস, মায়ানমার, নিউ জ়িল্যান্ড, ওমান, রাশিয়া, সেশেলস, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তানজ়ানিয়া, ইউগান্ডা ও ব্রিটেনের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এসআরভিএ খোলার অনুমতি পেয়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে টাকার অঙ্কে লেনদেনের ব্যবস্থাটি চালু হয় এপ্রিলের গোড়ার দিকে, যখন মালয়েশিয়ার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ভারতে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে এসআরভিএ খোলে।

উল্লেখ্য যে, টাকার অঙ্কে বৈদেশিক লেনদেন বিষয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অন্তত গত এক দশক ধরে ভাবনাচিন্তা করছে। ২০১৩ সালে ব্যাঙ্কের তৎকালীন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেছিলেন যে, ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পেলে টাকার অঙ্কে আরও বেশি লেনদেনের চাহিদাও বাড়বে। ২০২১ সালে ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অন কারেন্সি অ্যান্ড ফাইনান্স-এ এই প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়— রিপোর্ট আশাবাদী ছিল যে, “ভারতীয় টাকা আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা হয়ে উঠবে, তা নিশ্চিত।” রিপোর্টে বলা হয়, টাকার অঙ্কে আরও বেশি বৈদেশিক লেনদেন হলে তা আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য ও লগ্নির ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়মূল্যজনিত অনিশ্চয়তা দূর করে লেনদেন সংক্রান্ত ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাস করবে।

টাকার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেন মেটালে অন্তত দুটো সুবিধা। প্রথমত, এর মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা টাকার বিনিময় হার সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পাবেন। তার ফলে বাণিজ্যের ব্যয় কমতে পারে, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্য আরও বেশি প্রতিযোগিতার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের একটা বড় অংশ যদি টাকার মাধ্যমে হয়, তবে দেশে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে অনেক কম আন্তর্জাতিক মুদ্রা রাখার প্রয়োজন হবে।

এই সুবিধাগুলি সত্ত্বেও টাকার অঙ্কে বৈদেশিক লেনদেনের পথে বেশ কিছু বাধা রয়েছে। প্রথমত, টাকার মাধ্যমে বাণিজ্যের চুক্তি বাস্তবায়ন করা খুব সহজ নয়। বস্তুত, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের চুক্তিটিই— দু’দেশের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনা সত্ত্বেও— এখনও সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন এখনও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো তৃতীয় দেশের মাধ্যমে চলছে। এই প্রক্রিয়াটিতে অন্যতম বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বিপুল বাণিজ্যিক ঘাটতি— টাকার অঙ্কে এই ঘাটতি বজায় রাখার অর্থ, রাশিয়ার বিপুল সম্পদ ভারতীয় টাকায় আটকা পড়ে থাকবে। পূর্ববর্তী জমানায় টাকা-রুবল বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এটি এক বাস্তব অসুবিধা ছিল— বস্তুত, টাকার অঙ্কে নিজেদের আটকে পড়া পুঁজিকে সম্পূর্ণ নগদে রূপান্তরিত করতে রাশিয়ার সময় লেগেছিল দেড় দশকেরও বেশি।

দ্বিতীয় সমস্যা সম্বন্ধে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বিশেষ ভাবে অবহিত। ভারতীয় মুদ্রার আন্তর্জাতিকায়ন ঘটলে একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে বিনিময় মূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে, এবং অভ্যন্তরীণ আর্থিক বাজারের কথা মাথায় রেখে মুদ্রানীতি স্থির করতে হবে— এই যুগপৎ চ্যালেঞ্জ সামলানো নেহাত মুখের কথা নয়। এ কাজ তখনই সম্ভব, যখন অভ্যন্তরীণ আর্থিক বাজারটি আন্তর্জাতিক ধাক্কা সামলানোর মতো বড় এবং গভীর হবে। টাকার আন্তর্জাতিকায়ন হলে যে-হেতু ভারতীয় এবং অ-ভারতীয়, দুই গোত্রের লগ্নিকারীই টাকার অঙ্কে আর্থিক সম্পদ কেনাবেচা করতে পারবেন, ফলে অভ্যন্তরীণ আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দেশের বাজারে নগদের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা, এবং সুদের হার সামলানোর কাজটি কঠিনতর হবে।

এবং, কার্যকর আন্তর্জাতিকায়নের জন্য সরকারকে দেশি এবং বিদেশি, উভয় গোত্রের লগ্নিকারীর জন্যই দেশের মুদ্রা কেনা-বেচার ক্ষেত্রে— সেটা স্পট মার্কেটেই হোক বা ফরওয়ার্ড মার্কেটে— বাধানিষেধ সম্পূর্ণ তুলে নিতে হবে। এর ফলে টাকার সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে কার্যত কোনও বাধা থাকবে না। ভারতে একাধিক সরকার দীর্ঘ দিন ধরে এই পথে হাঁটতে দ্বিধা বোধ করেছে, যাতে বৈদেশিক আর্থিক সঙ্কট সরাসরি ভারতে প্রবেশ করতে না পারে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে চিনই একমাত্র, যারা মূলধনি খাতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেই দেশের মুদ্রার সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিকায়ন ঘটাতে পেরেছে। তা সম্ভব হয়েছে দু’টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। প্রথমত, পিপল’স ব্যাঙ্ক অব চায়না ৪৩টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সঙ্গে কারেন্সি সোয়াপ চুক্তি সম্পাদন করেছে— এটি দুই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মধ্যে মুদ্রা বিনিময়ের চুক্তি, যার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায় যে, বাজারে কখনও রেমনিবির অতি-জোগানের পরিস্থিতি তৈরি হবে না। দ্বিতীয়ত, চিন এমন এক বৈদেশিক বাজার তৈরি করতে পেরেছে, যেখানে বিদেশি লগ্নিকারীরা রেমনিবি বিক্রি করে পরিবর্তে ডলার কিনতে পারেন।

কাজেই, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টাকার আন্তর্জাতিকায়নের কথা ভাবলে সতর্কতা জরুরি, যাতে সেই প্রক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ অর্থব্যবস্থার ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

কালজ্ঞাপক শ্লোক

 কালজ্ঞাপক শ্লোক ---------------------------------------  ১. “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন  চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন।।” মালাধর বসু – শ্রীক...