চিঠি
স্বামী বিবেকানন্দ
(১৮৬৩-১৯০২)
১) আলোচ্য কবিতার উৎস লেখ।
উঃ আলোচ্য কবিতাটি ‘পত্রাবলী’ পত্র সংকলনের ৩৭১ সংখ্যক পত্র, যা ২৯শে জুলাই ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে শৈলশহর আলমোড়া থেকে বিবেকানন্দ লেখেন।
২) ‘স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।’-স্টার্ডি কে?
উঃ মি.ই.টি স্টার্ডি ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের ইংরেজভক্ত, যিনি স্বামীজিকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারে সহায়তা করেন।
৩) ‘কাল তাঁর উত্তর দিয়েছি।’-কাল বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? কে কার উত্তর দিয়েছে?
উঃ কাল বলতে ২৮ জুলাই, ১৮৯৭-এর কথা বলা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ স্টাডির প্রাপ্ত স্টাডির উত্তর দিয়েছেন।
৪) ‘চিঠি’ রচনায় মিস মুলারের কাছ থেকে কী জানার কথা বলেছেন?
উঃ ‘চিঠি’ রচনায় বিবেকানন্দ মিস মুলারের কাছ থেকে ভগিনী নিবেদিতার কর্ম প্রণালী সম্বন্ধে জানার কথা বলেছেন।
৫) ‘এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে......’-বক্তার দৃঢ় বিশ্বাসটি কী?
উঃ বক্তার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের কাছে ভগিনী নিবেদিতার এক বিরাট ভবিষ্যৎ আছে।
৬) ‘একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন’ কী জন্য?
উঃ ভারতুবর্ষের জন্য, বিশেষত ভারতবর্ষেরনারী সমাজের কল্যানের জন্য নিবেদিতার মতো একজন সিংহীর প্রয়োজন।
৭) ‘তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন।’-মিস নোব্লের মধ্যে কোন গুণাবলী লক্ষ করে স্বামীজি একথা বলেছেন?
উঃ মিস নোব্লের শিক্ষা শিক্ষা ঐকান্তিকতা, অসীম ভালোবাসা, দৃঢ়তা ইত্যাদি গুণাবলী লক্ষ করে স্বামীজি একথা বলেছেন।
৮) ‘কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।’-কোন কাজে বিঘ্ন আছে? বিঘ্ন গুলি কী কী?
উঃ ভারতবর্ষের, বিশেষত ভারতের নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়নের কাজে প্রচুর বিঘ্ন আছে। ভারতবর্ষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব, আজতিভেদ, অস্পৃশ্যতাইত্যাদি দেশের উন্নতির কাজে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৯) তা তুমি ধারনা করতে পারনা।’-কী ধারণা করতে না পারার কথা বলে হয়েছে?
উঃ স্বামীজি মিস নোব্ল্কে ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব প্রভৃতি ব্যপকতা সম্পর্কে ধারনা করতে না পারার কথা বলেছেন।
১০) মিস নোব্ল্ এদেশে এলে নিজেকে কীভাবে দেখতে পাবেন?
উঃ মিস্ নোবল্ এদেশে এলে নিজেকে অসংখ্য অর্ধ উলঙ্গ নরনারীতে পরিবেষ্ঠিত অবস্থায় দেখতে পাবেন।
১১) ভারতবর্ষের জলবায়ু কেমন?
উঃ ভারতবর্ষের জলবায়ু অত্যন্ত গ্রীষ্মপ্রধান। এদেশের শীত ইউরোপের গ্রীষ্মের মতো আর দক্ষিণাঞ্চলে সর্বদাই আগুনের ফুলকা প্রবাহিত হয়।
১২) ‘সর্বত্র যেমন, এখানেও তেমনি আমি কেউ নই......’-বক্তা কেন একথা বলেছেন?
উঃ দুর্দশাগ্রস্ত ভারতীয়দের সেবা ও উন্নতির বিশাল কর্মযজ্ঞে স্বামী বিবেকানন্দ নিজের ক্ষমতা সীমিত বলে মনে করায় একথা বলেছেন।
১৩) ‘মর্দ কি বাত হাতি কা দাঁত’-প্রবাদটির অর্থ লেখ।
উঃ প্রবাদটির অর্থ হল প্রকৃত মানুষ কথা দিলে তা রাখার সর্বতোভাবে চেষ্টা করে, নড়চর হয়না।
১৪) ‘আবার তোমাকে একটু সাবধান করা দরকার......’কী বিষয়ে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে সাবধান করা দরকার?
উঃ ভারতে জনহিতকার কাজ করার ক্ষেত্রে মিস মুলার কিংবা অন্যের আশ্রয়ে না থেকে মিস নোবল্কে আত্মনির্ভর হতে হবে।
১৫) ‘......এই ধারনা ছেলেবেলা থেকেউই তাঁর মাথায় ঢুকেছে......’-কার মাথায় কোণ ধারণা ঢুকেছে?
উঃ মিস মুয়লারের বদ্ধমূল ধারনা যে তিনি বদ্ধমূল ধারনা যে তিনি আজন্ম নেত্রী এবং টাকা দিয়ে পৃথিবিকে ওলটপালট করা যায়।
১৬) মিস মুলারের চরিত্রের দুটি গুন ও দুটি দোষের পরিচয় দাও।
উঃ মিস মুলার ছিলেন সহৃদয় ও অমায়িক মহিলা এবং তাঁর মেজাজ রুক্ষ এবং তিনি অস্থির চিত্ত সম্পন্না।
১৭) মিসেস সোভিয়ার কেমন মহিলা?
উঃ মিসেস সোভিয়ার অত্যন্ত ভাল এবং স্নেহময়ী মহিলা। স্বামীজী তাঁকে ‘নারীকুলের রত্নবিশেষ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
১৮) ‘তাঁর সবই সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়।’-কার সবই সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়?
উঃ যে ব্যক্তি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন অর্থাৎ স্বনির্ভর হতে পারেন, তাঁর সবই সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়।
১৯) সেভিয়ার সম্পত্তি কেমন মানুষ?
উঃ সেভিয়ার দম্পত্তি ভারতবর্ষের মানুষকে ঘৃনা করেননা এবং ভারতীয়দের উপর কর্তৃত্ব ফলাতে তারা এদেশে আসেননি।
২০) ‘তুমি এলে তোমার সহকর্মী রূপে তাদের পেতে পারো......’-সেভিয়ার দম্পত্তিকে সহকর্মী রূপে পেলে কী সুবিধা হবে?
উঃ মিস নোব্লের সঙ্গে সেভিয়ার দম্পত্তি এদেশের উন্নয়নের মাজে যোগ দিলে এদেশের মানুষের বিশেষত নারী সমাজের উন্নতি তরান্বিত হবে।
২১) ‘আমেরিকার সংবাদে জানলাম যে......’-বক্তা কী জানলেন?
উঃ বক্তা স্বামীজি জেনেছেন যে তাঁর দুই বন্ধু মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল এই শরৎকালেই ভারত ভ্রমণে আসছেন।
২২) ‘তাঁরা এউরোপে হয়ে এদেশে আসছেন...’-কারা কখন, কোথাথেকে ইউরোপ হয়ে এদেশে আসছেন?
উঃ মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল শরৎকালে আমেরিকা থেকে ইউরোপ হয়ে এদেশে আসছেন।
২৩) ‘আমার এই পরামর্শ এই যে......’ –স্বামীজি মিস নোব্ল কে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন?
উঃ স্বামীজি পরামর্শ দিয়েছেন, মিস নোব্ল যেন মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে এদেশে আসেন।
২৪) স্বামীজি মিস নোব্লকে ম্যাকলাউড ও মিস বুলের সঙ্গে এদেশে আসার পরামর্শ দিয়েছেন কেন?
উঃ ম্যাকলাউড ও বুলের সঙ্গে এলে মিস নোব্লের দীর্ঘপথের একঘেয়েমি দূর হতে পারে বলে স্বামীজি এই পরামর্শ দিয়েছেন।
২৫) মি. স্টার্ডির লেখা চিঠি কেমন ছিল?
উঃ মি. স্টার্ডির লেখা চিঠিটি ছিল বড়ো শুষক, প্রাণহীন এবং হতাশাপূর্ণ।
২৬) ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম কী?
উঃ ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্ল্।
২৭) মিস মুলারের সম্পুর্ণ নাম কী?
উঃ মিস মুলারের সম্পুর্ণ নাম মিস হেনরিয়েটা মুলার।
২৮) মিস ম্যকলাউডের পুরো নাম কী?
উঃ মিস ম্যাকলাউডের পুরো নাম মিস সেফাইন ম্যাকলাউড।
২৯) মিসেস সেভিয়ারের শ্রেষ্ট কীর্তি কী?
উঃ মিসেস সেভিয়ারের শ্রেষ্ট কীর্তি হল স্বামীজির ইচ্ছায় বেদান্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে ‘মায়াবতী অদৈত আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করা।
৩০) ‘অনন্ত ভালোবাসা জানরে।’-যাঁকে ভালোবাসা জানানো হয়েছে বক্তার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক কী?
উঃ যাঁকে ভালোবাসা জানানো হয়েছে তিনি বক্তা স্বামী ববেকানন্দের আদর্শ অ ভাবধারার একনিষ্ঠ অনুরাগী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন