মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কালজ্ঞাপক শ্লোক

 কালজ্ঞাপক শ্লোক

--------------------------------------- 

১. “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন 

চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন।।”

মালাধর বসু – শ্রীকৃষ্ণ বিজয় 

১৩৯৫-১৪০২ শকাব্দ 

১৪৭৩-১৪৮০ খ্রীষ্টাব্দ 


২. “ঋতু শশী বেদ শশী শক পরিমিত 

সুলতান হুসেন শাহ নৃপতি তিলক।।”

বিজয়গুপ্ত – পদ্মাপুরান

১৪১৬ শকাব্দ 

১৪৯৪ খ্রীষ্টাব্দ 


৩. “সিন্ধু ইন্দু, বেদ মহী শক পরিমান 

নৃপতি হুসেন শাহ গৌড়ের সুলতান।।”

বিপ্রদাস পিপলাই – মনসা বিজয় 

১৪১৭ শকাব্দ 

১৪৯৫ খ্রীষ্টাব্দ 


‘৪. শকমুনি বেদশশী শক গনিতা” 

গঙ্গাদাস সেন – মনসা মঙ্গল

১৪৭৫ শকাব্দ 

১৫৫৩ খ্রীষ্টাব্দ 

‘জলধির বামেতে ভূবন ভূবন মাঝে দ্বার

শকে রচে দ্বিজ বংশী পুরান পদ্মার।।”

দ্বিজ বংশী দাস – পদ্মাপুরান

১৪৯৭ শকাব্দ 

১৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দ 


৫. “শূন্যরস বান শশী শিয়রে মনসা আসি 

আদেশিলা রচিতে মঙ্গল।।”

কেতকা দাস ক্ষেমানন্দ – মনসা মঙ্গল 

১৫৬০ শকাব্দ 

১৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দ 


৬. “গ্রহ বিধু ঋতু শশী শব্দের গণণা 

এই শকে এই কাব্য করিল রচনা।।”

কালিদাস – মনসামঙ্গল 

১৬১৯ শকাব্দ 

১৬৯৭ খ্রীষ্টাব্দ 


৭. “মহীপৃষ্ঠে শশী দিয়া বান বিষ্ণু সমর্পিয়া 

বুঝহ মনের পরিমান।।”

জীবন মৈত্র – পদ্মাপুরান

১১৫১ বঙ্গাব্দ 

১৭৪৪ খ্রীষ্টাব্দ 


৮. “অম্বুজের পৃষ্টে রস ঋতু রিপু দান 

এই শকে জীবন মৈত্র কবিগান।”

জীবন মৈত্র – পদ্মাপুরান 

১৬৬৬ শকাব্দ 

১৭৪৪ খ্রীষ্টাব্দ 


৯. “শক কর ঋতু বিধু শক নিয়োজিত 

মনসামঙ্গল রামজীবন চরিত।”

রামজীবন – মনসামঙ্গল 

১৬২৫ শকাব্দ। 

১৭০৩ খ্রীষ্টাব্দ 


১০. “মনসা মঙ্গল ভাষে  প্রথম বৈশাখ মাসে 

ষোলশ এক চল্লিশে।”

বানেশ্বর রায় – মনসামঙ্গল

১৬৪১ শকাব্দ 

১৭১৯ খ্রীষ্টাব্দ। 


১১. “হিন্দু বিন্দু বান ধাতা শক নিয়োজিত 

দ্বিজ মাধব গায় সারদা চরিত।”

দ্বিজ মাধব – সারদামঙ্গল বা সারদাচরিত। 

১৫০১ শকাব্দ 

১৫৭৯ খ্রীষ্টাব্দ 


১২. “সকে রস, রস বেদ শশাঙ্ক গণিতা 

কতদিনে দিলা গীত হরের বনিতা।”

মুকুন্দ চক্রবর্তী – অভয়ামঙ্গল 

১৪৯৯ শকাব্দ 

১৫৭৭ খ্রীষ্টাব্দ 


১৩. “ইন্দুবান ঋষিবান শক নিয়োজিত 

রাচলোক রামদেব সারদাচরিত।”

দ্বিজ রামদেব – সারদা চরিত

১৫৭৫ শকাব্দ 

১৫৭৭ খ্রীষ্টাব্দ


১৪. “গ্রহ ঋতুকাল শশী শক শভ জানি। 

মুক্তারাম সেন ভনে ভাবিয়া ভবানী।”

মুক্তারাম সেন – সারদা মঙ্গল 

১৬৬৯ শকাব্দ 

১৭৪৭ খ্রীষ্টাব্দ 


১৫. “গজ বসু ঋতু চন্দ্র শকে গ্রন্থ হয়

চন্ডীর আদেশে পায়্যা রামানন্দ কয়।”

রামানন্দ যতি – চন্ডী মঙ্গল

১৬৮৮ শকাব্দ

১৭৬৬ খ্রীষ্টাব্দ। 


১৬. “ধাতা বিন্দু সাগরেন্দু শকাদিত্য সনে। 

ভবানীশঙ্কর দাসে পঞ্চালিকা ভনে।।”

ভবানীশঙ্কর দাস – মঙ্গলচন্ডীর পাঞ্চালিকা। 

১৭০১ শকাব্দ 

১৭৭৯ খ্রীষ্টাব্দ। 


১৬. “ভুবন শকে বায়ুমাস শরের বাহন। 

খেলারাম করিলেন গ্রন্থ আরম্ভন।”

খেলারাম – গৌড়কাব্য

১৪৫৯ শকাব্দ 

১৫২৭ খ্রিষ্টাব্দ 


১৭. “তিন বান চারি যুগে বেদে যত রয়। 

শকে সনে জড় হইলে কত শক হয়।।

রামের উপরে রস তাহে রস দেহ। 

এই শকে গীত হৈল লেখা কইরা লেহ।।”

রূপরাম চক্রবর্তী – অনাদিমঙ্গল বা অনাদ্যমঙ্গল 

১৫৯০ খ্রীষ্টাব্দ 


১৮. “বেদ বসু তিন বান শকে সুপ্রচার। 

ভাদ্র আদ্য পক্ষ আট দিবস তাহার।।”

রামদাস আদক – অনাদিমঙ্গল 

১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দ 


১৯. “সীতারাম দাস গায় ধর্মপদতলে। 

এই পুথি হৈল হাজার চারি সনে।।”

সীতারাম দাস – ধর্মমঙ্গল 

১০০৪ শকাব্দ 

১৬৯৮ খ্রিষ্টাব্দ। 


২০. “সঙ্গীতে আরম্ভকাল নাহিক স্মরন। 

শুন সবে যে কালে হৈল সমাপন।। 

শক লিখে রামগুন রস শুধাকর। 

মার্গ কাব্য অংশে হংস ভার্গব বাসব।। 

সুলক্ষ্য বলক্ষ পক্ষ তৃতীয়াথ্য তিনি 

রাম সংখ্যা দিনে সাজা সঙ্গীতের পুঁথি।।”

ঘনরাম চক্রবর্তী – অনাদিমঙ্গল / শ্রীমধুভারতী। 

১৭১১ খ্রীষ্টাব্দ। 


২১. “দ্বিজ সহদেব গান পূর্ব তপ কালে

যাহারে করিলে দয়া একচল্লিশ সালে।”

চৈত্রের চতুর্থদিন পূর্নিমার তিথি। 

হেন দিনে যারে দয়া কৈলে যুগপতি।।”

সহদেব চক্রবর্তী – অনিল পুরান। 

১১৪১ বঙ্গাব্দ। 


২২. “বেদ লয়ে ঋষি রসে ব্রক্ষ নিরুপিলা। 

সেই শকে এই গীত ভরত রচিলা।।”

ভরতচন্দ্র রায় – অন্নদামঙ্গল 

১৬৭৪ শকাব্দ

১৭৫২ খ্রীষ্টাব্দ 


২৩. "বসুদ্বয় বানচন্দ্র শক নিরুপন "

প্রানরাম চক্রবর্তী – কালিকামঙ্গল 

১৫৮৮ শকাব্দ 

১৬৬৬ খ্রীষ্টাব্দ 


২৪. “কবি কৃষ্ণরাম বলে ষষ্ঠীর মঙ্গলা।

মহীশুন্য ঋতুচক্র শক সংবৎসর।।”

কৃষ্ণরাম দাস – ষষ্ঠীমঙ্গল 

১৬০১ শকাব্দ 

১৬৭৯ খ্রীষ্টাব্দ 


২৫. “রস অংক বায় শশী শাকের সময় 

তুলা মাসে সপ্ত বিংশতি গুরুবার হয়।”

দ্বিজ রতিদেব – মৃগলুব্ধ। 

১৫৯৬ শকাব্দ 

১৬৭৪ খ্রীষ্টাব্দ। 


২৬. “শকে শূন্য চন্দ্রকলা রাম করতলে 

রাম হল্য বিধিকান্ত পড়িল অনলে।

সেই কালে শিবের সঙ্গীত হইল সারা।।”

রামেশ্বর ভট্টাচার্য – শিব সংকীর্তন 

১৭১২ খ্রীষ্টাব্দ। 


২৭. “চন্দ্রবান পক্ষ ঋতু শব্দ সুনিশ্চয় 

বিরাট হৈল সাঙ্গ কাশীরাম কয়।”

কাশিরাম দাস – ভারত পাচালী

১৫২৬ শকাব্দ 

১৬০৪ খ্রীষ্টাব্দ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কালজ্ঞাপক শ্লোক

 কালজ্ঞাপক শ্লোক ---------------------------------------  ১. “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন  চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন।।” মালাধর বসু – শ্রীক...